সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫ , ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
‎জামালগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা দেখার হাওর ঢেকে যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে উকিলপাড়ায় পাইপলাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস নির্গমন : দুর্ঘটনার আশঙ্কা দুর্গাপূজা : মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য পূজামন্ডপ পরিদর্শন করলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ৩ ফার্মেসিকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা পথে যেতে যেতে: পথচারী সুনামগঞ্জ পৌর শহরে স্পিডব্রেকারগুলো যেন মরণফাঁদ! ‎জামালগঞ্জে 'উন্নতি সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতির' শিক্ষা উপকরণ ও  বস্ত্র বিতরণ সুনামগঞ্জে 'ধর্ষণ মামলায়' আসামিদের শাস্তির দাবিতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন নির্বাচনের প্রস্তুতি অনেক এগিয়ে নিয়েছি : সিইসি আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদন্ড আজীবন জনগণের সেবা করতে চাই : পাবেল চৌধুরী ফার্মেসিতে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে ‘ফিজিশিয়ান স্যাম্পল’ সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জামালগঞ্জে জগন্নাথ জিউর মন্দির পরিদর্শনে এমপি প্রার্থী মাহবুব সীমান্তের ৩৫ পূজামন্ডপে বিজিবি’র বাড়তি সতর্কতা, ৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন শিগগিরই গঠন হচ্ছে নতুন ২ বিভাগ ও ২ উপজেলা মহাসড়কে অটোরিকশা ও ইজিবাইক চলাচল বন্ধ করতে হবে

দেখার হাওর ঢেকে যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে

  • আপলোড সময় : ০১-১০-২০২৫ ০৯:০৪:৩০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০১-১০-২০২৫ ১১:৪৭:১৬ পূর্বাহ্ন
দেখার হাওর ঢেকে যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে
* মৎস্য, কৃষি বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি।
* এক পক্ষ চাইছে শান্তিগঞ্জে, অন্য পক্ষ সুনামগঞ্জে।
* দ্রুত ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার দাবি ছাত্রদের।

বিশ্বজিত রায়, শান্তিগঞ্জ থেকে ফিরে::
হাওর অধ্যুষিত সুনামগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় হবে, এটি স্বপ্নের চেয়েও বড় কিছু। বহুল প্রত্যাশিত সেই পালে হাওয়া লাগলেও সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত স্থান নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। দেখার হাওরের একাংশ ভরাট করে বিশ্ববিদ্যালয় হলে প্রকৃতি-পরিবেশের ক্ষতির কথা বলা হচ্ছে। আবার প্রস্তাবিত স্থানে বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার সমর্থনে সোচ্চার অন্য পক্ষ। তবে সুবিপ্রবি’র ছাত্রদের অবস্থান যেখানেই হোক দ্রুত স্থায়ী ক্যাম্পাস হওয়ার পক্ষে তারা।
সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তাকবিল এইচ এস চৌধুরী বলেন, আমরা চাই ক্যাম্পাস যেখানেই হোক দ্রুত হোক। যে স্থান বাছাই করলে স্থায়ী ক্যাম্পাস দ্রুত হবে আমরা সেই স্থানের পক্ষে।
দ্রুত স্থায়ী ক্যাম্পাস করার দাবি জানিয়ে সুবিপ্রবি’র গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান নিসাত বলেন, শান্তিগঞ্জের মানুষ বলছেন, এটা দেখার হাওরে না, হাওরের পাড়ে। আবার সুনামগঞ্জের মানুষ পরিবেশ বিপর্যয়ের কথা বলছেন। দুই জায়গার মানুষজন বসে যেখানে ভালো মনে হয় সেখানেই করা হোক। দুই পক্ষের কোন্দলে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতি না হয়। এক্ষেত্রে পরিবেশ বিপর্যয়ের বিষয়টিও গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
শিক্ষার্থী শামীম সিদ্দিকী জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে ছাত্র হিসেবে তিনি নিরপেক্ষ। এটা কর্তৃপক্ষের ব্যাপার। এ নিয়ে কথা বলতে মানা আছে বলেছেন রসায়ন বিভাগের ওই শিক্ষার্থী।
সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের বিশাল অংশজুড়ে দেখার হাওরের অবস্থান। এটি সুনামগঞ্জের বড় হাওরের একটি। ৪৫ হাজার ৮৫৯ হেক্টর আয়তনের ২৪ হাজার ২১৪ হেক্টর আবাদযোগ্য কৃষি জমি, ১ লাখ ৪০ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন উৎপাদনযোগ্য ফসলের এই হাওর সুনামগঞ্জ সদর, শান্তিগঞ্জ, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলা নিয়ে বিস্তৃত।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস এলাকার দেখার হাওরের ১২৫ একর জলমগ্ন জমি ভরাট করে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। এর মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইও সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্প ব্যয় ২৯৯ কোটি টাকা।
আইনে দেখার হাওর পাড়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা বলা আছে। তবে হাওর ভরাট করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস করার কথা উল্লেখ নেই। তারপরও হাওরের মৎস্য, কৃষি, বাস্তুতন্ত্র, প্রকৃতি ও পরিবেশ ঝুঁকিতে ফেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ প্রক্রিয়াধীন। জেলা শহর থেকে প্রস্তাবিত জায়গার দূরত্ব প্রায় ১৭ কিলোমিটার।
অভিযোগ আছে, দেখার হাওরের ওই জায়গাটি সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের বাড়ির কাছে বিধায় তা বেছে নেওয়া হয়েছে। তবে সাবেক ওই মন্ত্রী জানিয়েছেন, এর চেয়ে ভালো জায়গা থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে করা হোক।
সরেজমিনের দৃশ্যপট: দেখার হাওরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত জায়গার পুরোটাই জলমগ্ন। স্থানীয়দের ভাষ্য, এ জমি বর্ষায় প্রায় ছয় মাস পানিতে নিমজ্জিত থাকে। ভাসান পানিতে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটি, কচুরিপানা ও জলজ ঘাস দেখে ধারণা পাওয়া যায়, ভরা বর্ষায় এই জায়গা অন্তত পাঁচ-ছয় ফুট পানির নিচে থাকে। তবে জায়গাটি দেখে বিশ্ববিদ্যালয় করার উপযোগী পরিবেশ মনে হয়নি।
সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের আহসানমারা ও জয়কলস সেতুর নিচ দিয়ে দেখার হাওর, মহাসিং ও নাইন্দা নদীর যোগসূত্র দেখে হাওর-পরিবেশ কর্মীদের উদ্বেগের সত্যতা পাওয়া যায়। এ দুই সেতুর মধ্যস্থলে বিশ্ববিদ্যালয় হলে পানিপ্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত হবে। হাওরের সাথে পানি চলাচল বন্ধ হলে হুমকির মুখে পড়বে এখানকার কৃষি জমি, মৎস্য সম্পদ ও জলাশয়।
এ সিদ্ধান্ত বাতিলের তাগিদ দিয়ে হাওর এরিয়া আপলিফটমেন্ট সোসাইটির (হাউস) নির্বাহী পরিচালক সালেহিন চৌধুরী শুভ বলেন, এখানে বিশ্ববিদ্যালয় হলে হাওরের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। দেখার হাওরের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের পাশাপাশি ধান ও মাছের উৎপাদন কমবে। সম্প্রতি প্রকাশিত দেশের নদ-নদীর তালিকাভুক্ত নাইন্দা নদী একদম মরে যাবে। এছাড়া মহাসিং নদীও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এ নিয়ে ভিন্নমত আছে স্থানীয়দের। জয়কলস বাজারে গেলে কথা প্রসঙ্গে ওই গ্রামের মো. মুজিবুর রহমান ও পার্শ্ববর্তী ফতেপুর গ্রামের রামচরণ দাস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শুধু শান্তিগঞ্জ না, গোটা সুনামগঞ্জের জন্য আশীর্বাদ। বিশ্ববিদ্যালয় হাওরে না, সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের কিনারে হবে। হাওরের বিষয় টেনে ক্ষতির কথা বলা হলেও আসলে সে রকম ক্ষতি হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে আমরা সে ক্ষতি মেনে নিব।
দেখার হাওরে বিশ্ববিদ্যালয়: বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য আইন পাস করে। পরে ২০২৩ সালের ৪ জুন বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা অধিগ্রহণের জন্য আবেদন জমা দিলে ১৩ জুন ১২৫ একর জমির প্রশাসনিক অনুমোদন দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অনুমোদনকৃত জায়গার মধ্যে আছে শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস মৌজার দেখার হাওরে বিভিন্ন দাগে ১২০ একর, কাঠইড় মৌজার বিভিন্ন দাগে পাঁচ একর জমি।
২০২৩ সালের জুলাইয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর ভূমি অধিগ্রহণে অনাপত্তিপত্র দিয়ে জানিয়েছে, প্রস্তাবিত ভূমির ১০০ একরে ধানের আবাদ হয়, ১৫ একর পতিত, ৫ একর কবরস্থান, ১ একর চারা, কিছু জমি রয়েছে বিল ও বাড়ি শ্রেণিভুক্ত।
২০২৩ সালের আগস্টে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। শান্তিগঞ্জ উপজেলা সদরে তিনটি ভাড়া প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর ওই অস্থায়ী ক্যাম্পাসে পাঠদান শুরু হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে দুই ব্যাচে চার বিভাগে ২৭১ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে।

দ্বন্দ্ব নিরসন করে বিশ্ববিদ্যালয় হোক, দাবি জানিয়ে সুবিপ্রবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি নির্ধারণ সংক্রান্ত কাজ গেল সরকার ও প্রশাসনের আমলে হয়েছে। এর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজও সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আইনে দেখার হাওর পাড়ের কথা বলা আছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়মতান্ত্রিক যে কাজ করার কথা সেগুলো করছে।
মত-ভিন্নমত: হাওরের বাস্তুতন্ত্র ও জমি নষ্ট না করে সুনামগঞ্জের আশপাশের উঁচু স্থানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে কর্মসূচি পালন করছেন সুনামগঞ্জের পরিবেশ কর্মী, সংগঠক, শিক্ষানুরাগী, সুধীজনেরা।
‘সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস জেলা সদরে বাস্তবায়ন’ আন্দোলনের আহ্বায়ক আইনজীবী হুমায়ুন মঞ্জুর চৌধুরী জানিয়েছেন, হাওর ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হোক এটা কেউ চায় না। আমরা লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের যোগীরগাঁও, গৌরারং ইউনিয়নের রতনশ্রী ও পৌর এলাকার হাসননগরে ক্যাম্পাস স্থাপনের প্রস্তাবনা তুলে ধরেছি। তিনি বলেন, সাবেক মন্ত্রী এমএ মান্নান সাহেব তাঁর বাড়ির কাছে বিশ্ববিদ্যালয়টি করতে চেয়েছিলেন। পরে তৎকালীন চার সংসদ সদস্যের বাঁধার মুখে স্থান পরিবর্তন করে দেখার হাওরে নির্ধারিত হয়। আমরা হাওরের ওই জায়গাতেও বিশ্ববিদ্যালয় চাই না।

কমিউনিস্ট পার্টি সুনামগঞ্জের সাবেক সভাপতি আইনজীবী এনাম আহমেদ বলেন, আমরা হাওরের প্রকৃতি-পরিবেশের ক্ষতি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে না। জেলা শহরের আশেপাশের উঁচু খাস জমিতে বিশ্ববিদ্যালয় করা হোক। এটা আমাদের প্রাণের দাবি। আবার শান্তিগঞ্জের নির্ধারিত স্থানেই দ্রুত ক্যাম্পাস করার দাবিতে একাট্টা শান্তিগঞ্জ ও আশপাশের লোকজন। তারা মনে করছেন, সুনামগঞ্জ পুরো জেলাই হাওরবেষ্টিত। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হাওরে করা ছাড়া বড় কোন জায়গা নেই। যে জায়গায় ক্যাম্পাস হবে সেটা হাওরের দক্ষিণ প্রান্তে, মাঝখানে না, অভিমত শান্তিগঞ্জের বাসিন্দা মো. আবু সঈদের।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত স্থানের বেশির ভাগই খাস জমি। এখানে ইরি ধান আবাদ হয়। এই ধান আবাদের জমি বেশি গভীর থাকে না। পরিবেশ নষ্টের দোহাই দিয়ে শান্তিগঞ্জবাসীর সাথে হিংসাত্মক আচরণ করছেন সুনামগঞ্জের কিছু মানুষ।
সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. ফেরদৌস আনোয়ার জানিয়েছেন, হাওর কিংবা জলাশয় ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ পরিবেশ অধিদপ্তর সমর্থন করে না। তবে অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি সাপেক্ষে সেটা করা যাবে।
হাওর ভরাট করে কোনোভাবেই বিশ্ববিদ্যালয় করার পক্ষে না, এমনটি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান। তিনি আরো বলেন, হাওরে বিশ্ববিদ্যালয় করার সিদ্ধান্ত আগের সময়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা দায়িত্ব নিয়ে জলাভূমি, বনভূমি, বসতভিটা, পাহাড় অধিগ্রহণ করে তা করা যাবে না, এমন নির্দেশনা দিয়ে রেখেছি।

পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, যেকোন প্রতিষ্ঠান করার আগে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র নিতে হয়। ছাড়পত্রের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স